দুই পাড়ার গোন্ডগোলে বাড়ি ভাঙচুর , আগুন : ব‍্যাপক উত্তেজনা এলাকায়

3rd August 2020 8:47 pm বাঁকুড়া
দুই পাড়ার গোন্ডগোলে বাড়ি ভাঙচুর , আগুন : ব‍্যাপক উত্তেজনা এলাকায়


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : ঘটনার সূত্রপাত ১৮ বছর আগে।  লাপুড়িয়া গ্রামের অদূরে থাকা একটি জমির পাট্টা পান লাপুড়িয়া গ্রামের বেশ কিছু বাসিন্দা। এক পক্ষ ওই জমিকে খেলার মাঠ হিসাবে ব্যবহার করতে চান।  অন্যপক্ষ পাট্টা পাওয়া জমিতে বাড়ি তৈরী করে বসবাস করতে চান।  এনিয়েই বাউরী পাড়ার সাথে মতবিরোধ হয় গ্রামের গোয়ালাপাড়ার।  এরপর থেকে বিভিন্ন ইস্যুতে দুই পাড়ার মধ্যে গন্ডগোল লেগেই থাকে।  গতকাল বাউরী পাড়ার এক বাসিন্দার সঙ্গে পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধ বাধে গোয়ালা পাড়ার বাসিন্দাদের। বিরোধ কিছুক্ষনের মধ্যেই সংঘর্ষের চেহারা নেয়। অভিযোগ এরপরই গোয়ালাপাড়ার একদল যুবক বাউরী পাড়ায় এসে নির্বিচারে একের পর এক বাড়ি  ভাংচুর শুরু করে। বাউরী পাড়ায় সবমিলিয়ে দশ বারোটি বাড়ি ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয়।  একটি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বাঁকুড়া সদর থানা ও পার্শ্ববর্তী ছাতনা থানার পুলিশ।  গ্রামে পৌঁছায় দমকলও। দমকল আগুন নেভায়।  পুলিশ বাহিনী এলাকায় টহল দিতে শুরু করে। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী টহল দিচ্ছে। বাউরী পাড়ার বাসিন্দারা এই ঘটনার জন্য পুরোপুরি দায় চাপিয়েছে গোয়ালা পাড়ার বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে। গোয়ালাপাড়ার তরফে অভিযোগ অস্বিকার করা হয়েছে। গোটা ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে ৪ জন মহিলা সহ দুপক্ষের মোট ৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।